ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় টইটংয়ে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে দাগী ও ফেরারী আসামিদের নিয়ে শোডাউন

পেকুয়া ইউপি নিবর্কাচনপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় টইটং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পেকুয়ায় সবক’টি ইউনিয়নে আ’লীগ নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করতে বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি রোধ করেছেন। শুধুমাত্র টইটং ইউনিয়নে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে আছেন। সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করার ঘোষনা দিয়েছেন। দলের তৃনমুল প্রার্থী বাছাইয়ে শহিদুল্লাহ ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। দলের হাইকমান্ড ওই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে। এদিকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ফের ভোট যুদ্ধে অবতীর্ন হওয়ার ঘোষনা দিয়েছিলেন আ’লীগ নেতা শহিদুল্লাহ। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে টইটং ইউপিতে নৌকা মনোনীত প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর পাশাপাশি তিনিও নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। স্বতন্ত্র ব্যানারে নির্বাচনের জন্য তিনি নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তার প্রতীক ঘোড়া মার্কায় ভোট চেয়ে ছুটছেন মানুষের কাছে। এদিকে গতকাল শুক্রবার সকালে ঘোড়া মার্কার সমর্থনে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল্লাহ শোডাউন করেছেন। অর্ধ শতাধিক লোকজন নিয়ে ওইদিন তিনি মিছিল সহকারে টইটংয়ের বেশ কিছু এলাকায় সড়ক প্রদক্ষিন করেছেন। তবে অভিযোগ উঠেছে শহিদুল্লাহ চেয়ারম্যানের ওই শোডাউনে অধিকাংশরা ছিলেন ফেরারী আসামি ও দাগী ব্যক্তিরা। উপজেলা আ’লীগের প্রয়াত সভাপতি শাহাব উদ্দিন ফরায়েজী ও যুবলীগ নেতা ইউনুস হত্যা মামলার আসামিরা মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন। টইটং বাজার থেকে ওই মিছিলটি খুইন্যাভিটা, বাজারপাড়া, বটতলী ও বদুহাজ্বির পাড়া প্রদক্ষিন করে। ওইদিন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর সর্মথনেও পৃথক মিছিল হয়েছে। দু’প্রার্থীর মিছিলকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। জাহেদুল ইসলাম চৌং ও শহিদুল্লাহর মিছিল বদুহাজ্বিরপাড়া এলাকায় মুখোমুখি হয়। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষের আশংকা দেখা দেয়। এদিকে ইউপি নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে টইটংয়ে নির্বাচনী পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে সন্ত্রাসী ও ডাকু প্রকৃতির বহিরাগত লোকজন গনসংযোগসহ নির্বাচনী প্রচারনায় সম্পৃক্ত হওয়ায় দিনদিন টইটংয়ের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে মোড় নিচ্ছে। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ছরওয়ার কামাল চৌধুরী জানিয়েছেন নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে আমরা এ লড়াইকে অস্থিত্বের লড়াই বলে ধরে নিচ্ছি। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী আমাদের সুনিশ্চিত বিজয়ীকে নসাৎ করার ষড়যন্ত্রে মেতেছে। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট করায় আমিসহ দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। লোকজনসহ সাধারন ভোটারদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানায় নৌকার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। অপশক্তির মিশন বাস্তবায়ন করতে শহিদুল্লাহ বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। আমি তার বাড়িতে গিয়েছি উন্নয়ন, সন্ত্রাসমুক্ত টইটং গড়তে আমি তার সহযোগিতা চেয়েছি। শহিদুল্লাহ আমার কাছে ৩লাখ টাকার প্রস্তাব দেয়। তার অনৈতিক প্রস্তাবে আমি সম্মত হয়নি। দল তাকে মনোনয়ন দিলে আমি তার পক্ষে অবশ্যই কাজ করতাম।

#########

পেকুয়ায় এক রাতে তিনটি গরু চুরি

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় এক রাতে তিনটি গরু চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চোরের দল গোয়াল ঘরের তালা কেটে তিনটি গরু গভীর রাতে চুরি করে নিয়ে যায়। গত ১৭মার্চ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সুতাবেপারীপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। জানাগেছে, ওই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে নাজিম উদ্দিন প্রকাশ নাজু মিকারের বাড়িতে অজ্ঞাত চোরেরদল হানা দেয়। এসময় তার গৃহ পালিত তিনটি গবাদি পশু গোয়ালঘর থেকে চোরেরদল নিয়ে যায়। গরুগুলোর মধ্যে ২টি গাভী ও একটি বাছুর আছে। এগুলো উচ্চ ফলনশীল জাতের গবাদি পশু। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২লক্ষ টাকা হবে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নাজু মিকার দারিদ্র বিমোচন ও সংসারে সচ্ছলতার জন্য আর্ত কর্মসংস্থান খাত হিসেবে গবাদি পশু লালন-পালন করে আসছিলেন। এর আয়ের উৎস থেকে তার সংসারে জীবিকায়ন চলছিল। ওইদিন চোরেরদল তার গোয়ালঘর থেকে সবকটি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। এখন তার পথে বসার উপক্রম হয়েছে। মুলধনও নেই, এখাতে ফের বিনিয়োগ করার মতো। এদিকে পেকুয়া উপজেলায় গবাদি পশু চুরির হিড়িক পড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল গবাদি পশু চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। একটি সিন্ডিকেট এসব গরু চুরি ও পাচারে লিপ্ত রয়েছে। গবাদি পশুর মালিকরা বার বার এঘটনা সংঘঠিত হওয়ায় চরম সন্দিহান হয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে পেকুয়ায় দারিদ্র বিমোচনে গবাদি পশু পালন এখাতটি থমকে যাবে বলে সচেতন মহল জানিয়েছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সমাজ থেকে এ অপতৎপরতা রোধ করার জন্য এ মুহুর্তে এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছেন পেকুয়াবাসি। এব্যাপারে গরুর মালিক নাজিম উদ্দিন বলেন, আমার স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছে চোরেরদল। আমি আমার গরুগুলো উদ্ধারের প্রশাসনের তড়িৎ হস্তক্ষেপ চাই।

##############

পেকুয়ায় সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী এড.কামাল হোসেন

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আ’লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এড.কামাল হোসেন সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সদর ইউনিয়নের পুর্বগোঁয়াখালী এলাকায় নিজ বাসভবনে এড.কামাল হোসেন পেকুয়ার কর্মরত গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। এ সময় জেলা আ’লীগের এ বর্ষিয়ান নেতা আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মিডিয়া কর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ সময় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এড.কামাল হোসেন নিজের বর্নাঢ্য ও রাজনৈতিক জীবনি সংবাদকর্মীদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শান্তিপুর্ন ও শুশৃংখল পরিবেশে সম্পন্ন হোক সেটি তিনি কামনা করছেন। তিনি বলেন পেকুয়ায় নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপুর্ন ও সহনশীল অবস্থানে আছে। ক্ষমতাসীন দল আ’লীগ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ট করার জন্য কাজ করছেন। নৌকা হচ্ছে উন্নয়ন ও সমৃদ্বির প্রতীক। পেকুয়ার উন্নয়ন ও আর্তসামাজিক পরিবর্তনের জন্য তিনি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩১মার্চ নৌকা প্রতীকের জন্য জনগনের কাছ থেকে ভোট চেয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে এম.কামাল হোসেন বলেন যে সময় আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম সে সময় পেকুয়া অত্যন্ত অনুন্নত ছিল। সমাজে ব্যাভিচার ছিল। চুরি, ডাকাতি নিত্য নৈমত্রিক বিষয় ছিল। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ছিলানা। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর এসব কর্মকান্ড কঠোর হস্তে দমন করেছি। রাস্তাঘাট ছিলনা। সেগুলির আমুল পরিবর্তন সাধিন করি। বর্তমানে পেকুয়ার অধিকাংশ সড়ক ও জনপদ আমার সময়ে এর উন্নয়ন ও সংস্কার হয়েছে। জীবনে কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি। আমার সময়ে মানুষ ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমিয়েছেন। শিক্ষা বিস্তারে কাজ করেছি। অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে ব্যাপক। মাঝখানে দীর্ঘ সময় ক্ষমতার সাধ থেকে দুরে থাকলেও পেকুয়ার মানুষের দুঃখ দুর্দশার সময় সব সময় থেকেছি পাশে। আমার কৃতিত্ব ও শ্রেষ্টত্বের জন্য সরকার সে সময় আমাকে জেলার দু’বার শ্রেষ্ট চেয়ারম্যান হিসেবে স্বীকৃত দেন। জনগন আমাকে তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। আমি প্রত্যাশি জনগন অবশ্যই তাদের সুচিন্তিত মুল্যবান রায় দিয়ে আগামি ৩১মার্চ আমাকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করবেন। আমি কথা দিচ্ছি আমাকে নির্বাচিত করলে পেকুয়ার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করতে আমার বেঘাত সৃষ্টি হবেনা। আমি চেয়ারম্যান হলে পেকুয়াকে পরিনত করা হবে একটি মডেল ইউনিয়নে। জিএমসি ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে পুর্নাঙ্গ সরকারি করন করা হবে। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিত করতে পৃথক টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্টিত করা হবে। পেকুয়াকে দ্রুত পৌর সভায় উন্নীত করা হবে। মাতামুহুরী নদীর করাল গ্রাস ও বঙ্গোপসাগরের কবল থেকে পেকুয়াবাসিকে রক্ষার জন্য চিরস্থায়ী পরিকল্পনা হাতে নেয়া হবে। বেড়িবাধ নির্মানে অধিক প্রযুক্তি সংযোজন করা হবে। পেকুয়া থেকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখল-বেদখল মুক্ত করা হবে। এ সময় তার বাসভবনে সাংবাদিকদের সৌজন্যে চা-চক্রের আয়োজন করা হয়। এ সময় এড.কামাল হোসেনের সাথে ছিলেন সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি এম.আযম খান, চেয়ারম্যান পুত্র এড.রাশেদুল কবির, পুর্ব গোঁয়াখালী জামে মসজিদের খতিব মৌলভী মহিউদ্দিন কুতুবী প্রমুখ। এ সময় পেকুয়ার কর্মরত সাংবাদিকরা চা-চক্রে মিলিত হয়েছেন।

############

পেকুয়ায় যুবলীগ সভাপতির দাদির ইন্তেকাল

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের দাদি হাজেরা বেগম (৯৫) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না….রাজেউন। তিনি সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লাঘোনা এলাকার মৃত.ছৈয়দ আহমদের স্ত্রী। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পেকুয়া প্যান ইসলামিক হাসপাতালে পৃথিবীর শেষ নিঃশেষ ত্যাগ করেন। ওই দিন বিকেল ৫টায় নামাযে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছেন। মৃত্যুকালে তিনি ৬ছেলে ও ৩ মেয়ে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন। এদিকে তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম, সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, শাহনেওয়াজ চৌধুরী বিটু, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সদর ইউনিয়ন এড. কামাল হোসেন, রাজাখালী ইউনিয়ন আজমগীর চৌধুরী, মগনামা খাইরুল এনাম, টইটংয়ের জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, উজানটিয়ার শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, শিলখালীর কাজিউল ইনসান, বারবাকিয়ার জিএম কাসেম। মগনামা ইউনিয়ন আ’লীগ সহ-সভাপতি সাংবাদিক মুহাম্মদ হাসেম, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো.বারেক, যুবলীগ নেতা সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন, সাংবাদিক শাখাওয়াত হোসাইন সুজন, সাংবাদিক জালাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা বাদশাহ, করিম, জাফর, আছাদ, শাহজাহান, আনছার, জয়নাল, সেকান্দার, ছাত্রলীগ আহবায়ক কফিল উদ্দিন প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: